১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ী এবং ৮৯.৯৭ শতাংশ কোটিপতি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর মতে, এটি ১১তম জাতীয় পরিষদের তুলনায় প্রায় 8 শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার এসব তথ্য জানান। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের উপস্থাপনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
দিলীপ কুমার জানান, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে যা ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী সংসদ সদস্য ছিলেন ১৮৫ জন, যা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের প্রকাশিত তথ্যে আরও জানা যায়, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৬৯ জনের রয়েছে এক কোটি টাকার বেশি সম্পদ। যা শতকরা হিসাবে ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে ২৪৭ জন বা ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংসদ সদস্যের ছিল এক কোটি টাকার বেশি সম্পদ।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় উচ্চশিক্ষিত সংসদ সদস্যের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছরের ৮২.৬০ শতাংশ সংসদ সদস্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদে এ হার ছিল ৮১ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই করে না। হলফনামায় প্রায়শই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকে। আদালত যে উদ্দেশ্যে প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য দিতে বাধ্য করেছেন তা পূরণ করা হচ্ছে না। .