কয়েকদিন ধরে দেশে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে সরকার এর সমালোচনায় মেতে উঠেছে বিরোধী দলগুলো। প্রকৃতপক্ষে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে দেশে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। এবার লোডশেডিংকে ইস্যু করে বিরোধী দল বিএনপি প্রতিবাদী আন্দোলনে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে।
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ সব মহানগরীতে বিক্ষো”ভ মিছিল করবে বিএনপি। এই সময়সূচী ৩১ জুলাই সমস্ত জেলায় পালিত হবে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন দিনের
এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লোডশেডিং শূন্যে আনতে উৎসব করেছে আতশবাজি পু”ড়িয়ে। অন্যদিকে শহরে ২/৩ ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে ৫/৬ ঘণ্টা লোডশেডিং জনজীবনকে দু”র্বিষহ করে তুলেছে। শিল্প ও কৃষিতে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত না করে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির উদ্দেশ্য হচ্ছে চুরি করে নিজ দলের ব্যবসায়ীদের দিয়ে দুর্নীতি ও অনৈতিক সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। শুধু লোভের বশে সরকার আজ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারের পথে নামিয়েছে। দলীয় বৈঠকে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ বিভ্রাট বৃদ্ধিসহ দেশে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে গেছে, যার কারণে সরকার অনেকটা চাপের মুখে পড়েছে। বৈদেশিক রিজার্ভ যাতে অতিমাত্রায় হ্রাস না পায় সেজন্য সরকার বিদেশ থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসজাত দ্রব্য আমদানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে সরকার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েছে তবে শীঘ্রই এই সংকট নিরসন হবে।