সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে সুদূর ভারতের তামিলনাড়ুর থেকে প্রেমিকাকে দেখার উদ্দেশ্য বরিশালে আসে প্রেমকান্ত। জানা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের পরিচয় পরে প্রেমের সম্পর্কে ঘড়ায়। এভাবে তাদের সম্পর্ক তিন বছর পেরিয়ে যায়। এ বিষয়ে নিয়ে দুটি পরিবার মধ্যেও ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়। তবে দেখার করার পর থেকে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় নেয় তাদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেমকান্ত, মারধরের ঘটনা সাজানো বলে পুলিশের পক্ষে যা জানালো হল।
ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশাল আসা যুবক প্রেমকান্তের (৩৬) ওপর আক্রমণের পুরো ঘটনাই ছিল সাজানো। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনটি বলছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরপরই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেমকান্ত।
সেইসূত্রে সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে প্রকাশ্যে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে থানায় সোপর্দ করলে সে আত্মপক্ষ সমর্থনে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়। মারধর করে টাকা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। প্রেমকান্তের এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মারধরের ঘটনা ঘটেনি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধু। পরে ২৪ জুলাই প্রেমকান্ত বরিশালে চলে আসেন। ২৫ জুলাই, ওই কলেজছাত্রী তার তিন বান্ধবীর সাথে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করে। এমনকি দুপুরের খাবারের শেষে চলে যান। প্রেমকান্তের অনুরোধে ২৭ জুলাই কাশিপুর এলাকায় দুজনের দেখা করেন। সেখানে চলমান অটোরিকশার মধ্যে বসে তারা কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে প্রেমকান্ত ওই ছাত্রীকে খারাপ সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তার সঙ্গে ঢাকা যাওয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করেন। কলেজছাত্রী প্রেমকান্তের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা উচ্চস্বরে ঝগড়ায় রূপ নেয়। তাদের দু’জনের বহনকারী গাড়িটি থামিয়ে দেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে বিষয়টি বিমানবন্দর থানায় অবহিত করেন। সেখান থেকে পুলিশ এসে প্রেমকান্তকে হেফাজতে নেয়।
বিমানবন্দর থানার ওসি কমলেশ হালদার বলেন, প্রেমকান্তের অভিযোগের তদন্ত করেছি। তদন্তে তার করা অভিযোগুলো অসত্য বলে ওঠে এসেছে। যে ভিডিও ফুটেজে কথা বলছেন, সেখানে কাশীপুরের রাস্তায় ওই যুবকের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। তাকে কেউ মারধর করেনি।
ওসি জানান, প্রেমকান্ত নামের ওই যুবক বারবার আমাকে মেয়েটিকে তার কাছে দিতে বলে। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে বাংলাদেশের আইনের পরিপন্থী বলার পরও তিনি একই দাবি করছিলেন। হাইকমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ঢাকায় না গিয়ে শহরে চলে আসেন।
কলেজছাত্রীর পরিবার যা বলছে
প্রেমকান্তের কথিত প্রেমিকা কলেজছাত্রী দাবি করেছেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। আমি তার প্রেমিকা নই। আসলে, আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় আমার ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি তিনি আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য মিডিয়ার বক্তব্য দিয়েছে।