বিতর্কিত কিছু মন্তব্যের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। বর্তমান সময়ে তবে তার মন্তব্যের জেরে প্রতিবাদ করেছে নারী সংগঠন। সাম্প্রতিক সময়ে জাইমাকে নিয়ে মন্তব্য করার পর তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবার বলেছেন, জাতির জনক ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন তাতেই উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৭ কোটি নিরস্ত্র বাঙালি। তাই যতদিন নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকবে ততদিন গেয়ে যাবো জয় বাংলার গান। এই গানেই এদেশের মানুষ অনুপ্রানীত হবে সকল ধরনের অপরাজনৈতিক শক্তিকে রুখে দিতে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নির্যাতিত, শো’ষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকা’মী মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।’
প্রতিমন্ত্রী আজ জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলাধীন “কামালপুর হা’নাদারমুক্ত দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গত শনিবার ৪ ডিসেম্বর বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ এর সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর উদ্দীন ও মো. আব্দুস সামাদ, সাংবাদিক ও লেখক হারুন হাবীব, রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ।
মুরাদ হাসান বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। এ দেশে সবারই পূর্ণ ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এ দেশে চলবে না। ধর্মকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে, সেই সমস্ত লোকদের ধর্মপ্রীতি নিতান্তই লোক দেখানো। ধর্মীয় অনুশাসনকে এরা কখনোই অন্তর দিয়ে গ্রহণ করে না এবং অনুশাসন মেনে চলে না। এই ব্যক্তিদের রাজনীতিতে আসাই উচিৎ নয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন অংশ নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিল। আর সেই নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোটা পড়েছিল আওয়ামী লীগের বাইরে যারা ছিল রাজাকার-দালাল। কারন সেই সময় তারা দেশকে স্বাধীন করতে চাইনি। সেই রাজাকারের যারা উত্তরসূরি আছে তারা এই বাংলায় বসবাস করার মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে এ দেশের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রকে স্বাধীনতার শক্তি দিয়ে রুখে দিতে হবে।