আর মাত্র একদিন। এরপর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। পদ্মার প্রবল স্রোত উপেক্ষা করে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সব ধরনের কাজ শেষ। এখন নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে দেখা যায় বহু কাঙ্খিত স্বপ্নের সেতু।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিপুল খরচ উঠলেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশে বিভিন্ন সেতু নির্মাণ করে সংযোগ তৈরি করেছি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দ্বিতীয়টির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারপরও আগে দেখতে হবে, এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? সেটা বিবেচনা করা হবে। এত বড় কাজ আমি এখনই শেষ করে অন্য কাজ শুরু করতে পারছি না। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন জায়গাটা খুব বড় নয়, বড় সেতুও নয়। তাই ভবিষ্যতে যখন এটার প্রয়োজন হবে তখন আমি এটা নিয়ে ভাবব। তিনি আগেই বলেছেন, কোনো প্রয়োজন হলে দেখতে হবে কী ফেরত আসে। সেটা দেখেই প্রজেক্ট নেব। আমরা আমাদের মাথায় এটা আছে। এখন যে এত খরচ করেছি, টাকাটা আগে আসুক। তারপর আমি দ্বিতীয়টি করব।
উল্লেখ্য পদ্মা সেতুর পিলারের নীচ থেকে ৬২ মিটার পর্যন্ত মাটি সরে যেতে পারে, এমনটা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে। পদ্মা সেতু রিখটার স্কেলে প্রায় আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। সেতুটি চার হাজার ডেড ওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি জাহাজের ধাক্কা সামলাতেও সক্ষম হবে। ভূমিধস, জাহাজডুবি এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প—তিনটিই একসঙ্গে ঘটবে—কিন্তু সেতুটি টিকে থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পদ্মা সেতুকে ভূমিকম্প প্রতিরোধী করতে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ ধরনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে, যার নাম ডাবল কার্ভার ফ্র্যাকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। বৃহত্তম ভারবহন ওজন ১০০০০ টন।