পুলিশের প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য এবার বিশেষ নির্দেশনা দিল পুলিশের আইজিপি এবং সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সকল স্তরের পুলিশ কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান শুরু হতে আর কয়েকদিন মাত্র বাকি। আর এই লক্ষ্যে দেশজুড়ে পূজামণ্ডপগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
আজ সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক নিরাপত্তা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, এদেশের মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি পূজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত কমিউনিটি এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সমন্বয় করার অনুরোধ জানান।
সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দুর্গাপূজা উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আইজিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
নিরাপদে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুজোর আগে, পূজার সময় ও পূজা-পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
সমস্ত পূজা মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং যেখানে প্রযোজ্য হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর এবং আর্চওয়ে গেট স্থাপন, পূজা মন্ডপে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান রুটের ব্যবস্থা, পূজা মন্ডপ ও স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা, আজান। আযান ও নামাজের সময় উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস-৯৯৯ এ কল করার জন্যও অনুরোধ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এবছর দেশজুড়ে ৩২ হাজার ১৬৮ টিরও বেশি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে জানা গেছে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে যাতে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন আইজিপি। তার এই ধরনের নির্দেশনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটি সদস্যরা।