ক্রিকেট দলের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বর্তমান সময়ে বেশ তিনি কিছু বিতর্কে জড়িয়েছেন। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান থেকে তিনি এখন বড় ধরনের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছেন। এদিকে সাকিব আল হাসানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর পদে আর রাখছে না দেশের অন্যতম একটি সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী সাকিব এখন পর্যন্ত ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রয়েছেন কিন্তু থাকলেও আর ভবিষ্যতে চুক্তি নবায়ন করা হবে না। এ কারণে আসন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কোনো কার্যক্রমে তাকে রাখা হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদকের তদন্ত বিভাগের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান।
মোজাম্মেল হক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তার সঙ্গে দুদকের এখনো চুক্তি রয়েছে। কিন্তু সাকিব আল হাসান এখন নানা বিষয়ে বিতর্কিত। দুদক নিজেকে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত করতে চায় না। যার কারণে সাকিব আল হাসানকে আর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ব্যবহার করবে না দুদক।
আসন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কোনো কর্মকাণ্ডে তাকে যুক্ত করা হবে না বলেও জানান দুদক কমিশনার। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে ২০ সেপ্টেম্বর বলেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
দুদক ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানের সাথে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এছাড়া হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনের সময়ও দুদক তার সাথে কাজ করে।
গত কয়েক মাস ধরে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরেই বেশি আলোচিত সাকিব। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জু”য়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পর বাবার নামে জালিয়াতি, শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ রয়েছে।
গত আগস্টে অনলাইন জুয়া কোম্পানি বেটউইনারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেটউইনার স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি করায় বিসিবি তিরস্কার করেছিল সাকিবকে। বলা হয়েছিল, চুক্তি বাতিল না হলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। বিসিবির এমন একরোখা অবস্থায় শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব।
একের পর এক বিতর্কে বাবার নাম নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন শাকিব। মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের ফর্মে খন্দকার মসরুর রেজার পরিবর্তে সাকিবের বাবার নাম কাজী আবদুল লতিফ। পরে বিষয়টি ভুল বলে দাবি করা হয়।
সাকিব আল হাসান নিজের পিতার নাম নিয়েও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, যার কারণে তিনি বিতর্কে জড়ান। মনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেড এর একটি ফরমে তিনি তার বাবার নাম জালিয়াতি করে আব্দুল লতিফ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাকিবের পিতার নাম খন্দকার মাসরুর রেজা। পরবর্তী সময়ে বিষয়টিকে ভুল হিসেবে দাবি করা হয়।