সার্বিক পারফরম্যান্সের দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খুব একটা সুদিন যাচ্ছে না। একের পর এক বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে অখুশি ক্রিকেট বোর্ড এবং ভক্তরা। এদিকে বাংলাদেশ দলের পঞ্চপান্ডব হিসেবে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এই পাঁচ টাইগারেরা হলেন দলের সিনিয়র ক্রিকেট বোদ্ধা।
যদিও পঞ্চপাণ্ডবদের এখন আর একসঙ্গে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। কারণ, অবসর না নিলেও জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে রয়েছেন মাশরাফি। ক্রিকেটের মাঠ ছেড়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তিনি।
বাকি চারজন খেললেও টেস্টে খেলছেন না মাহমুদউল্লাহ, টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্রামে আছেন তামিম। অনেক সময় সাকিবও ইনজুরি ও ছুটির কারণে মাঠে অনুপস্থিত থাকেন।
পবিত্র হজ পালনে চলমান উইন্ডিজ সিরিজে নেই মুশফিক। ওয়ানডে সিরিজের জন্য ছুটিও নিয়েছেন সাকিব।
এক কথায় ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ থাকলেও এখন দলে চার সিনিয়রকে একসঙ্গে পাওয়া খুবই কঠিন।
একসঙ্গে পাওয়া না গেলেও, এই চারজনই ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের প্রধান পারফর্মার হবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন।
তামিম জানিয়েছেন, এই চার সিনিয়র পাণ্ডবকে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে সম্ভাব্য সেরা দলে দেখা যাবে। আর ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ হবে চারজনের শেষ বিশ্বকাপ।
তবে সেই বিদায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নাকি শুধুমাত্র ওয়ানডে সংস্করণে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি দেশের সেরা ব্যাটসম্যান।
তামিম বলেন, ‘সম্ভবত ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ (ভারতে অনুষ্ঠিত হবে) আমাদের সবার জন্য একটি বড় ইভেন্ট হতে চলেছে। বিশেষ করে আমাদের চারজনের জন্য, যাদের এটাই শেষ বিশ্বকাপ। তাই আমরা সম্ভাব্য সেরা দল ও কম্বিনেশন নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনাই করেছি। এখনও অনেক জায়গা আছে, যেগুলো আমাদের ঠিকঠাক করতে হবে।’
অবশ্য ক্রিকেট থেকে এই চার তারকার বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসছে। চারজনই তাদের ক্যারিয়ারের শেষ বিকেলে।
মুশফিক ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, সাকিব ১৬ বছর ধরে খেলছেন। ক্রিকেটে তামিমের বয়স হবে ১৫ বছর এবং মাহমুদউল্লাহ ১০ দিন পর ১৫ বছর পূর্ণ করবেন।
তবে বাংলাদেশ টাইগারদের মধ্য থেকে এই পঞ্চপান্ডব যদি অবসরে যান, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে বড় ধরনের একটি প্রভাব পড়তে পারে, যেটা কখনোই আশাব্যঞ্জক নয়, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা। এদিকে আগামী বিশ্বকাপের পর চার পান্ডব ক্রিকেট থেকে সরে গেলে নতুনদের ওপর বড় ধরনের দায়িত্ব পড়ব. সেদিক থেকে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নিতে তাদের আরো অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।