তেলের দাম বাড়ানোর বিগত কিছুদিন ধরে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ গড়ে উঠেছে। দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে নানা ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রতিবাদ মিছিলে সরকারের পরে বিভিন্ন ধরনের সমালোচিত সংলাপ দিচ্ছে তারা। এ বিষয় নিয়ে এবার গন মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ও বানিজ্য মন্ত্রী।
কারণ ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমালে দেশের ভোক্তারা এর সুফল পাবেন।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বন্ড লাইসেন্স আবেদন মডিউলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
হঠাৎ করে এত দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা কী এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর অবস্থা কী? এখানে যে দাম বাড়ানো হয়েছে তা যুক্তি ছাড়া বাড়ানো হয়নি। বারবার দাম বাড়লে মানুষের কাছে একটা টার্গেট থাকে- সেটা কতটা বাড়বে, কতটা সহ্য করতে পারবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের বাজারে দাম কমবে।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা চালু করা হবে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। কিন্তু আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করছি। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে চালু করা হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের ভোক্তারা এর সুফল পাবেন। সারা বিশ্বে তেলের দাম কমছে। আমরাও কম দামে কেনা শুরু করেছি। তারা দেশে এলে আমাদের কোনো চাপ থাকবে না। আমি মনে করি, দেশের ভোক্তারা কম দামে ব্যবহার করতে পারবেন।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটা ঠিক, তবে কখনো কখনো দীর্ঘমেয়াদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, বন্ড লাইসেন্সের আবেদন কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে বন্ড লাইসেন্সধারীদের আরও বেশি সেবা প্রদান এবং সরকারের রাজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালে নেওয়া হয়েছিল৷ কাজটি ২০২৩ সালে শেষ হবে৷ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় এবং সময় হ্রাস পাবে এবং পরিষেবা সরবরাহের প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে৷
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুর শুরুর দিক থেকে এই পর্যন্ত নানা ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে বাংলাদেশ। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, এরপর জ্বালানি তেলের সংকট ইত্যাদি । কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরেও নানা ধরনের বিতর্কিত কথা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা, কারণ ওই সময়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এই সবকিছুকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের অনেক নেতারা বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য সারাদেশে প্রতিবাদ ও আলোচানা সভার আয়জোন করছে।