প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন বাংলাদেশের রত্ন। তিনি মানুষের সার্বিক উন্নয়ন সাধনের জন্যই ফিরে এসেছিলেন দেশের মাটিতে। প্রধানমন্ত্রী এদেশের মানুষের জন্য করেছেন অনেক ত্যাগ শিকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন তিনি আে এইটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মানুষের অসীমক ভালোবাসা ও সম্মানের কারণে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিরায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত প্রবাহিত। তাই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। শেখ হাসিনাকে আমরা কারাগার থেকে মুক্ত করেছি। এখন সে আমাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে।
পরাজিত শক্তি এখনও এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ফলে আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। আমরা এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যারা বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশকারীদের লালন-পালন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এখনও সংগ্রামে রয়েছি। শেখ হাসিনা।
রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে এ ধরনের খেলা থেমে থাকেনি যেখানে হত্যার রাজনীতি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের একটাই কথা- যতদিন দেশ শেখ হাসিনার হাতে থাকবে ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না। জনগণের ভালোবাসার কারাগারে আবদ্ধ রেখে তিনি এগিয়ে যাবেন জনগণকে নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের ভালোবাসার বন্দী। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমি সাত কোটি বাঙালির ভালোবাসা।’ শেখ হাসিনাও এদেশের মানুষের ভালোবাসায় আবদ্ধ থাকবেন। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে এটাই আমাদের অনুরোধ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার পূর্বপরিকল্পিত। তিনি আরও যা চেয়েছিলেন তা ছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র। পাকিস্তান যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তেমনি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, তারা মনে করে আওয়ামী লীগ না থাকলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না। তাই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিরায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত প্রবাহিত। সে কারণেই তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য এ দেশ স্বাধীন করেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। আমরা এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন-পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। পরাজিত শক্তি এখনো এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখনো সংগ্রামে রয়েছি।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। এই দলে রয়েছে অনেক প্রবীণ এবং জ্ঞানী নেতাকর্মী। দলের জন্য এই সকল নেতাকর্মীদের ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। তারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়নে।