গোটা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য ধনী ব্যক্তি রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মানের মধ্যে দিয়ে এই স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্ব জুড়ে ধনী ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। প্রাট সময় নানা ইস্যুকে ঘিরে ধনী ব্যক্টিরা আলোচনার শীর্ষে উঠে আসেন। তবে এবার তরুণদের উদ্দেশে সাফল্যের মন্ত্র জানিয়ে নিজেই আলোচনায় উঠে এসেছেন পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
নানা কারণে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। কখনো টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ি, কখনো স্পেসেক্স, কখনো নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সনবাদের শিরোনাম হন তিনি। বিভিন্ন সময়ে, ভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। এমনকি পরামর্শমূলক কথাবার্তা টুইটও করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার সাফল্যের মন্ত্র জানিয়েছেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোটা বিশ্বের তরুণদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার নাম। তরুণদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের আরও বেশি করে বই পড়তে হবে। তিনি বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা বড় কিছু করতে চান, তাহলে নিজেকে ‘ব্যবহার’ করার চেষ্টা করতে হবে। তার বক্তব্য, তাদের এমন কিছু করতে হবে, যা বিশ্বের মানুষের কাজে আসে। তবে এর সঙ্গে তিনি এটিও বলেন, নিজেকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারা খুব কঠিন কাজ। এর সঙ্গে তিনি বলেন, তরুণদের যা গ্রহণ করছে তার থেকে বেশি সমাজকে দান করা উচিত।
পড়াশোনার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তার কথায়, ছাত্র-যুবদের খুব পড়াশোনা করা উচিত। জেনারেল নলেজ জানা দরকার। প্রচুর মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য বলেছেন তিনি। তার কথায়, যত বেশিসংখ্যক মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন চিন্তাভাবনা এবং মনের বিকাশ তত হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশার এবং সম্পূর্ণ অন্য ধরনের মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে কথা বলুন। কয়েক বছর আগে চাকরি এবং নিয়োগসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইলন মাস্ক। সেখানে তিনি বলেন, কোনো কিছু করার জন্য কলেজ ডিগ্রি প্রয়োজন হয় না। এমনকি হাইস্কুল ডিগ্রিও লাগে না। এ ছাড়া আরও একটি দুর্দান্ত কথা বলেছেন তিনি; যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যতি রয়েছে সেখান থেকে যদি কেউ উত্তীর্ণ হয়, তাহলে তার সম্ভাবনা থাকে যে তিনি বড় কোনো সংস্থায় চাকরি পাবেন। কিন্তু যদি বিল গেটস, ল্যারি ইলিসন অথবা স্টিভ জবসের মতো ব্যক্তিত্বদের দেখেন, তাহলে দেখবেন তারা কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেননি। কিন্তু যদি কোনোদিন আপনি তাদের নিয়োগ করার সুযোগ পান বা নিয়োগ করেন তাহলে তা আপনার সংস্থার জন্যই ভালো সিদ্ধান্ত।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগ। বিশ্ব জুড়েই বৃদ্ধি পেয়েছে এই প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহার। সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্প্রতি তরুন প্রজন্মের অনেকেই এই প্রযুক্তির স্বদব্যবহার করে সফলতার শীর্ষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে।