ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৫টায় এ বৈঠক হবে বলে । এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গতকাল নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ইসি আগেই বলেছে নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। যেহেতু প্রথম অর্ধেক দিন এগিয়ে আছে, তাই অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন।
গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা যথাসময়ে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। শিগগিরই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন সিইসি।
এদিকে তফসিল ঘোষণা না করায় জন্য বিরোধী দলগুলো বিক্ষোভ করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা করবেন না, করলে জাতি আপনাকে অভিশাপ দেবে। ফলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে, অবিচারও হবে।
ভোটারদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও অ/স্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে তফসিল দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। দয়া করে পদত্যাগ করুন। আপনারা জাতীর এমন কলঙ্ক ঘাড়ে নেবেন না।
তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণা করলেও ভোটাধিকার আন্দোলন চলবে, নয়তো অন্য কিছু করা হবে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকটি ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। তাই সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২৯ জানুয়ারিতে ২০২৪। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।