নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনে বিএনপিসহ বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ বিলম্বিত করার সুযোগ রয়েছে, তারা নির্বাচনে আসতে চায়, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এ বিষয়ে শুনছি। তারা যদি পর্দার আড়ালে দর কষাকষি করে বা যোগসাজশ করে তাহলে বিষয়টি বিলম্বিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে (বিস্তারিত)। আমাদের একজন নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলের খুঁটিনাটি গোপন করার সুযোগ সংবিধানে রয়েছে। তবে যথাসময়ে নির্বাচন না হলে সংবিধানে শূন্যতা তৈরি হবে। তাই নির্বাচন যথাসময়ে হবে।
বুধবার দুপুর ১২টায় কুমিল্লা সার্কিট হাউজে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, কে নির্বাচনে এল আর কে এল না সেটা আমাদের চিন্তার বিষয় নয়। কাউকে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। ৪২ টি দল নিবন্ধিত আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট হবে সেটা কোনো বিষয় নয়। নির্বাচনী গতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানে লেখা নেই কত ভোট সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন সবসময়ই উৎসবমুখর। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তা বেশি হয়। আমরা আগেই আহ্বান করছি। সবাই নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির প্রশ্নে জামালপুরের ডিসির ভাইরাল বক্তব্য প্রসঙ্গে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রশাসনে রদবদলের প্রয়োজন হলে তা করা হবে। তখন প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তবে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশাসন এখন আমাদের। তাই প্রয়োজনে প্রশাসনে পরিবর্তন আনতে পারি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. মুশফিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।