জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা তদন্ত কমিটি সাত দিনেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেওয়া হবে তা জানায়নি তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার (২২ মার্চ) তদন্ত কমিটির সদস্যরা আড়াই ঘণ্টা আত্মহত্যার বিষয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা অবন্তিকার মায়ের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।
আলোচনা শেষে অবন্তিকার মা সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্ত কমিটি তদন্ত করতে আসছে, তারা আমাদের কাছ থেকে ঘটনার তথ্য নিয়েছে। আমি তাদের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। .
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনকার মতো আন্তরিক হলে হয়তো আমার মেয়েকে হারাতে হতো না।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহ করতে কুমিল্লায় এসেছি। আমি অবন্তিকার মায়ের সাথে প্রায় দেড় ঘন্টা কথা বললাম। বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য-উপাত্ত থাকলে সেগুলো নেব।
তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দ্রুত রিপোর্ট করার চেষ্টা করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত দল অবন্তিকার মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে। জানতে চাইলো নানা তথ্য। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছি।
এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন।