নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। বিশ্বজড়ে তার খ্যাতি রয়েছে। তবে এই আলোচিত ব্যক্তি পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ সম্পর্কে যা বলা হল।
মুহাম্মদ ইউনূসের কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল বিজয়ী ড. বুধবার (২২শে জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তদন্ত করতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় কোটি টাকা পাচারের বিষয়ে একজন সংসদ সদস্য তদন্তের দাবি করেছেন, আপনারা সাংবাদিকরা অনেক তদন্ত করেন।আপনারা করেন। এত কথা, এত কিছু লেখেন। একটি ব্যাংকের এমডি। আমাদের ৫৪টি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি আছে। কার এত আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। এ রকম একটা ফাউন্ডেশনে এত ডলার দিল অনুদান হিসেবে অথবা এত টাকা খরচ করল কীভাবে, সেটা আপনারা তদন্ত করলে ভালো হয় না? আমি করতে গেলে বলবে প্রতিহিংসার শিকার করার জন্য করছি বা ইত্যাদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা খুঁজে বের করলে ভালো হয়। আর তথ্য কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে, কোন চেকে কত টাকা সরালো, সেসব তথ্য রয়েছে, আপনারা খুঁজে বের করেন। তারপর কিছু প্রয়োজন হলে আমি প্রদান করব। আগে নিজেরা বের করেন। বাংলাদেশের কোন ব্যাংকে কত টাকা আছে, বিশাল চেক… এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে। কিভাবে একটি ট্রাস্ট ট্রাস্ট টাকা একটি প্রাইভেট ব্যাংকে যায়? একজনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক চেকে ৬ কোটি টাকা.. আমরা একটি ট্রাস্ট চালাই, ব্যক্তিগতভাবে সেই টাকা তোলার কোনো অধিকার নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, কারণ আমিও ট্রাস্টের চেয়ারপারসন। আমি চাইলেও তুলতে পারব না। কিন্তু আমার কাছে এই তথ্য আছে, ট্রাস্ট থেকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ছয় কোটি টাকা নিয়ে সেই টাকা ভ্যানিশ। বেশি দিনের কথা নয়, ২০২০ সালের কথা। আপনি যদি তারিখ, অ্যাকাউন্ট নম্বর চান, সবকিছুই আছে। আপনারা বের করেন। আমি বলতে চাই না। এমন একজন বিখ্যাত ব্যক্তি, মানে, আমি পড়তে জানি না, আমি কিছুই জানি না। এএতকিছু বলা শোভা পায় না, তাই না। এত জ্ঞানী না সাধারণ মানুষ, নিরেট বাঙালি মেয়ে, তা-ও আবার বাংলায় পড়ছি, বাংলায় পাস করা।
প্রসঙ্গত, ট্রাস্টের টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়ে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। এগুলোর তথ্য অনুসন্ধান করার কথা বলেন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী।