দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে নেতাদের কথার লড়াই জমে উঠছে। বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে উপস্থিত হয়ে নেতারা নিজ নিজ দলের পক্ষে কথা বলছেন।
শুক্রবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেশের রাজনীতির সমসাময়িক বিষয় নিয়ে টকশোর আয়োজন করা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম অংশ নেন।
টকশোর একপর্যায়ে শামীম ওসমানের উদ্দেশে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, খালেদা জিয়া বিএনপির প্রধান।তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আজকের আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে সম্ভব?
পরে শামীম ওসমান বিএনপি নেতা আবদুস সালামকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন- আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুনবে না; তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এর মধ্যে কীভাবে এটি সমাধান করা যেতে পারে?
জবাবে আবদুস সালাম বলেন, সমাধান হচ্ছে শেখ হাসিনা বলবেন তিনি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন না। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়।
সালাম বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনের জন্য শুধু তত্ত্বাবধায়কের কথা বলছে না। বিএনপি বলছে, কোনো রাজনৈতিক দলের সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন নির্দলীয় সরকার। এটা শুধু আপাতত নয়, চিরকালের জন্য। এখন দুই দল আলোচনা করবে কার নির্দলীয় সরকার হবে- কীভাবে হবে, কারা হবে।
আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ ছোট দল নয়, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ককে ভয় পাবে কেন?
এর পরিপ্রেক্ষিতে শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ কেন ভয় পাবে? ভয় নেই, এরপর সুপারভাইজারের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। তা হলে কি আলোচনা ঠেকাতে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা?
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, বিশ্বের কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? ২০০১ সালে, তত্ত্বাবধায়ক ধারণাটি নষ্ট করে দেওয়া হয়।
এর জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক আনল কেন? যদি তাই হয়, তাহলে বলতে হবে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকায় তত্ত্বাবধায়ককে দরকার ছিল, এখন সরকার আছে বলে তত্ত্বাবধায়ককে দরকার নেই।
শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ককে এনে ভুল করেছে।