শ্রম আইন না মেনে গ্রামীন টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের ছাটাই করে গ্রামীন টেলিকম কতৃপক্ষ। যার কারনে ব্যাপক সমস্যা পড়েন শ্রমিক-কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতের দারস্থ হন। পরে গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ চার জনের নামে মামলা হয়। এবার সেই মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে যা বলল আদালত।
হাইকোর্টে ডক্টর ইউনুসের মামলা ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৬ জুন) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। রুলের শুনানির জন্য বিচারপতি কুদ্দুসুজ্জামানের বেঞ্চও ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ঢাকার কলকারখানা ও সংস্থাপন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও সংস্থাপন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান। এ তিন আসামি পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানিটির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের পরিশোধ করা হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে
প্রসঙ্গত, গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ চারজনের মামলার নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলার রেট শুনানির জন্য বেঞ্চও ঠিক করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।