অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, দণ্ডবিধি ও মানি লন্ডারিং আইনের কয়েকটি ধারায় মো. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মামলার আসামিদের বক্তব্য নিতে দুদক ডেকেছে। দুদকের তলবে হাজির হন ড. ইউনুস।
সচিব আরও বলেন, কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলার কারণে ড. ইউনূসকে তলব করা হয়। তিনি আজ আমাদের কাছে এসে বক্তব্য দিয়েছেন। গত সাত দিন ধরে এ মামলার তদন্ত চলছে।
আজ সকালে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘উপরোক্ত বিষয়ে বিবৃতি দিতে এবং তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে ৫ অক্টোবর দুপুর ১২.৩০ টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত ৩০ মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্রমিকের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দেশের বাইরে ছিলেন। দুদকের নোটিশের বিষয়টি জানতে পেরে গত ১ অক্টোবর তিনি দেশে ফেরেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তিনি দুদককে চিঠি দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা জানান।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকার শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার এখন চলছে।