গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির পক্ষ থেকে ।
চিঠিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন লঙ্ঘন করে ইউনূসের বিরুদ্ধে অন্যায় ও ভিত্তিহীন তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হয়। বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের চিঠিটি ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের পক্ষে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ২২তম মেয়াদে সদস্য ড. আজিজ আকগিল স্বাক্ষরিত বার্তাটি জারি করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে অন্যায় ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি ক্ষুদ্রঋণ এবং সামাজিক উদ্যোক্তা উদ্যোগের মাধ্যমে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের জন্য তিনি অনুপ্রেরণা।
চিঠি অনুসারে, ১৮ জুলাই ২০০৩-এ, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তুর্কি গ্রামীণ ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি (টিজিএমপি) চালু করেন। এই প্রকল্পের অধীনে, দিয়ারবাকির অঞ্চলের দরিদ্র মহিলাদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। তারপর থেকে এই প্রকল্পটি ২০ বছর ধরে দেশের ৬৯টি অঞ্চলে এবং ১০০টি শাখার মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করে আসছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি দরিদ্রদের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে টিজিএমপি প্রকল্পের অধীনে এ পর্যন্তএক বিলিয়ন ৬০৬ মিলিয়ন তুর্কি লিরা প্রদান করা হয়েছে। এই ঋণের আওতায় তুরস্কের দুই লাখ দরিদ্র নারী সচ্ছল হয়েছেন। তুরস্কে, জামানত, গ্যারান্টি বা কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই বিশ্বাসের ভিত্তিতে এই ঋণ দেওয়া হয়। দেশে এ ঋণ আদায়ে সাফল্যের হার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ।টিজিএমপি-এর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট অনুসারে, তারা ছোট উদ্যোক্তাদের এক লিরা ধার দেয়, যার সামাজিক প্রভাব সাড়ে চার লিরা।
চিঠিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সংযুক্ত করা হয়েছে ১৬০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তির, যার মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়।