অনলাইন ফুড ডেলিভারি কর্মীকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কোয়েম্বাটোর পুলিশ। মোহনসুন্দরাম, একজন খাদ্য বিতরণ কর্মী। সিঙ্গানাল্লু ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনের এক পুলিশ সদস্য তাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় চড় মারেন। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় রাস্তায় থাকা কেউ একজন মোবাইল ক্যামেরা অন করে ভিডিও করে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। প্রকাশ্য রাস্তায় একজন ইউনিফর্মধারী একজন ফুড ডেলিভারি বয়কে মারধর করছে এটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সতীশ নামে ওই পুলিশকর্মীকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, ফুড ডেলিভারি বয় ট্রাফিক আইন ভেঙে একটি বেসরকারি স্কুলের ভ্যান থামানোর চেষ্টা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কোয়েম্বাটুরের অবিনাশি রোডে। কনস্টেবল ডেলিভারি বয়কে একবার প্রকাশ্যে এবং দুবার জনসমক্ষে চড় মারেন। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও বাইকের চাবি ছিনিয়ে নেয়। বাইকেরও ক্ষতি করেন তিনি।
মোহনসুন্দরাম ফাম মল জংশনের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি বেসরকারি স্কুলের ভ্যান তার বাইকের দিকে এগিয়ে যায়। মহেনসুন্দরাম বাস থামালেন। ডেলিভারি বয় চালকের কাছে জানতে চাইলেন কেন তিনি এত বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছেন। শুরু হয় ঝগড়া। টি.
দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময় ওই ক্রসিংয়ে ডিউটিতে ছিলেন সতীশ। তিনি এগিয়ে এসে ফুড ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি পরপর দুবার মোহনসুন্দরামকে চড় মারেন। এরপর তার ফোন ও বাইকের চাবি ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় এক পথচারী পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করেন। ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। জানা গেছে, সতীশ নামের ওই কনস্টেবলকে কোয়েম্বাটুরের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ বিনা কারণে গায়ে হাত দিলে কি করা উচিৎ এমন প্রশ্নে এক সচেত নাগরীক বলেন, পুলিশের অসদাচরণের বিরুদ্ধে আপনিই প্রথম প্রতিবাদ করবেন। তারপরে আপনি সেই পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তাদের অবিলম্বে উর্ধ্বতনদের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। আপনি চাইলে সরাসরি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অভিযোগ সেলে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে পুলিশের ফেসবুক পেজে কমেন্ট লিখে প্রতিকার চাইতে পারেন, ইমেইলে আপনার অভিযোগ পাঠাতে পারেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে অভিযোগের ঘটনাও যথাযথ চ্যানেলে প্রচারিত হতে দেখেছি।