অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে উদ্দেশ করে ডিএমপির বিদায়ী কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং যে কোনো ঘটনা উদঘাটন করা—এসব গুণ তোমার (হারুন) মধ্যে রয়েছে। আমি আশা করি হারুন টিমকে নিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে বিদায়ী অনুষ্ঠানে খন্দকার গোলাম ফারুক এ কথা বলেন।
ডিএমপির মুখ উজ্জ্বল করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনার গোলাম ফারুক। ডিএমপির মুখ উজ্জ্বল করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইউনিট হল ডিবি এবং সিটিটিসি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এই দুটি ইউনিট ১১ মাসে টোটাল ডিএমপির মুখ উজ্জ্বল করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনা যতটা চ্যালেঞ্জিং, মামলা এই দুটি ইউনিট করে।
তিনি আরও বলেন, আমি ১১ মাস কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর ডিবি গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করেছে, যা ডিএমপির কমিশনার হিসেবে আমার কাছে মনে হয় উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমিও এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং মামলা তাৎক্ষণিকভাবে ডিবির কাছে হস্তান্তর করতাম। হারুন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে একজন মেধাবী কর্মকর্তা। আমি আমার প্রায় ৩৩ বছরে অনেক অফিসারকে পুলিশ বাহিনীতে দেখেছি। কিন্তু হারুনের মতো মেধাবী অফিসার খুব কম দেখেছি।
আমার খুব সহজ স্বীকারোক্তি হল যে আমি গত ১১ মাস ধরে তার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, তিনি সাধারণ কাজের দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের একজন দক্ষ কর্মকর্তা।
খন্দকার গোলাম ফারুক, বিপিএম (বার) শনিবার বিকেলে ডিএমপি কমিশনার পদ থেকে বিদায় নেন। পুলিশ সদস্যরা রীতি অনুযায়ী ফুলের দড়ি দিয়ে গাড়ি টেনে আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিএমকে বিদায় জানান।
কমিশনারের বিদায়ের সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সুসজ্জিত দল বিদায়ী কমিশনারকে বিদায়ী সালাম দেয়।