বাংলাদেশের ডিজিএফআই নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। বিশেষ তারা অনেক বিতর্কটি কর্মকান্ডের সাথে রয়েছে জড়িত। সম্প্রতি একটি একটি পোস্ট দিয়েছেন জার্নালিস্ট জুলকারনাইন সায়ের। আর সেই পোস্ট এ তিনি বাংলাদেশের এক ডিজিএফআই কর্মকর্তার গোপন অডিও সবার কাছে শেয়ার করে দিয়েছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই অডিওসহ স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো হুবহু:-
খুবই সামান্য, তুচ্ছ একটি ঘটনা।
প্রতিরক্ষা অফিসার হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস) এর নিরাপত্তা প্রহরীদের সাথে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার ছেলের কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি হয়েছে এবং মারামারির এক পর্যায়ে তিন নিরাপত্তা কর্মী মিলে সাবেক এই কর্মকর্তার ছেলেকে পিটিয়েছে।
খুব বেশী হলে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন পর্যন্তই এমন একটি বিষয় গড়াতে পারে। কিন্তু এই ফালতু বিষয়টির তদন্তে নেমেছে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই।
ডিজিএফআইয়ের দুইজন স্টাফ অফিসারকে নিয়োজিত করা হয়েছে পুরো বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে।
গোয়েন্দা সুত্ররা সেই অনুসন্ধানের কয়েকটি অডিও রেকর্ড আমার কাছে ফাঁস করেছে, যার মধ্যহতে ওই কর্মকর্তা ও তার ছেলের সাথে ডিজিএফআই কর্মকর্তার কথোপকথন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
মোটেও মাথা ঘামানোর মত কোন বিষয় এটি নয়, কিন্তু একটা ব্যাপার ভেবে বেশ অবাকই লাগলো। সাবেক সেনা কর্মকর্তার ছেলে সামান্য পিটুনির শিকার হওয়ায় ডিজিএফআই আর সেনাবাহিনীর এত উৎকন্ঠা!
তাহলে তো ডিজিএফআই আর সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বুঝতে পারা উচিত; আপনারা যখন বছরের পর বছর সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে নাগরিকদের “আয়না ঘরে” আটকে রাখেন, পৈশাচিক পন্থায় নির্যাতন করেন। এলিট ফোর্স RAB এ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রেষণে থাকা অবস্থায় কত জঘন্যভাবে সাধারন মানুষদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেন। তখন সে সকল ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার ও স্বজনদের কাছে কেমন লাগতে পারে?
ডিওএইচএসের ফালতু পলিটিক্স আর হাতাহাতির ঘটনায় মিলিটারি -ডিজিএফআইয়ের তদন্ত করতে হাজির হওয়া খুবই লেইম।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বেশ সমলোচনা। সকলেই এমন বিষয় নিয়ে মেতে উঠেছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনাতে। বিশেষ ডিজিএফআই এর একটি সংস্থা কিভাবে এমন কাজ করতে পারে তা নিয়ে অনেকেই তুলছেন প্রশ্ন।