অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলার দর আরও কমেছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) তা পাঁচ মাসের সর্বনিম্নে নেমে আসে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বলা হচ্ছে, শিগগিরই সুদের হার কমাতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এই প্রত্যাশায় মার্কিন মুদ্রার দরপতন হয়েছে।
আলোচিত কার্যদিবসে প্রধান ৬টি বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ০.৪৮ শতাংশ কমেছে। বর্তমানে এটি ১০০ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে রয়েছে। যা গত ২৭ জুলাইয়ের পর থেকে সর্বনিম্ন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে ডলারের সূচক ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। আগের দুই বছরে অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালে অনেক বেড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেড সুদের হার বাড়াচ্ছে। ফলে এই শ্রেষ্ঠত্ব তৈরি হয়। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নামিয়ে আনা। ইতিমধ্যে তা তিন শতাংশের নিচে নেমে গেছে। ফলে সুদের হার কমার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোর দাম বেড়েছে ০.৫৪ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রা ১ দশমিক ১১০২ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত ২৭ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। এ বছর সব মিলিয়ে মুদ্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
স্টার্লিং ০.৫৬ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রা ১ দশমিক ২৭৯৩ ডলারে স্থির হয়। যা গত ১০ আগস্টের পর থেকে প্রায় সর্বোচ্চ। এ বছর মুদ্রার দাম গড়ে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। জাপানি মুদ্রার বিপরীতে গ্রিনব্যাকের ০.৩৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। রেট প্রতি ডলারে দাঁড়িয়েছে ১৪১ দশমিক ৮৯ ইয়েন। ২০২৩ সালে, মুদ্রার শক্তি ৮ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে।
শিকাগো-ভিত্তিক ডিআরডব্লিউয়ের বাজার বিশ্লেষক লু ব্রায়েন বলেছেন, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। ফলস্বরূপ, ফেড আগামী মার্চে সুদের হার কমাতে পারে। সেই প্রত্যাশায় ডলারের দাম কমেছে।