স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কিছু বলিনি, স্বীকৃতিও দিইনি। ইসলামে যেটি হারাম সেটাকে আমিও হারাম মনে করি এবং প্রধানমন্ত্রী এটাকে হারাম মনে করেন। কাজেই ইসলামবিরোধী কোনো আইন দেশে পাস হবে না, ইনশাআল্লাহ!
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া মাদ্রাসার দস্তরবন্দী ও খতমে বুখারি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রান্সজেন্ডারদের বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি, তাদের কোনো স্বীকৃতিও দেইনি। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, সরকার ইতোপূর্বে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করেনি, আগামীতেও পাস করা হবে না। এ ছাড়া ট্রান্সজেন্ডারকে অর্থাৎ ছেলে হয়ে নিজেকে মেয়ে কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলে পরিচয় দেওয়া এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইনে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, কেউ ‘ট্রান্সজেন্ডার’ হলে আল্লাহর গজবের শিকার হবেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তার বিচার করবেন। আমরা তাদের কোনো সহযোগিতা বা উৎসাহ দেব না। আমরা তাকে বলব আপনি যা করছেন তা ইসলামবিরোধী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আলেমদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু করা হবে না। সরকার ওলামায়ে কেরামের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে যথেষ্ট যত্নবান। জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম, তাবলিগ জামাত, পটিয়া মাদ্রাসাসহ দেশের চলমান সংকট নিরসনে আলেমদের সহযোগিতা করতে চায় সরকার।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ইসলাম, মানবতা ও শান্তির বাণী সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে উলামায়ে কেরামের কাছে আমার বিশেষ আবেদন। বিশ্ব মুসলিম জাতি আজ ষড়যন্ত্রের শিকার। তাদের ব্যাখ্যা মুসলমান মানেই সন্ত্রাস! বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম সোচ্চার ভূমিকা পালন করলে শত্রুর সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। এটা আমাদের কাছে প্রমাণিত যে, বাংলাদেশের কোনো উলামা বা মাদ্রাসা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মতো এমন ধর্মপ্রাণ মুসলমান পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে, ইনশাআল্লাহ!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের মান্যবর আলেম মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে আলেমরা যেমন শ্রদ্ধা করেন আমরাও তেমন শ্রদ্ধা করি। আমরা অনেক জটিল বিষয়ের সমাধান হুজুরের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। তিনি দেশের ওলামাদের মাঝে শান্তির প্রতীক।