সম্প্রতি টিকটক নিয়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দেখা যায় অনেক উন্মাদনা। অনেক জায়গাতেই দেখা গেছে অনেক কিশোরদের সহিংসতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকটক। অনেক চেষ্টা করেও শেষ-মেষ যেন কিছুতেই থামানো গেল না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই অ্যাপটি। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায় টিকটক সেলিব্রেটি হওয়ার নেশায় মেতে উঠতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড করতে। সম্প্রতি টিকটক করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক মেয়র পুত্রের। জয়পুরহাটের মেয়র রাবেয়া সুলতানা পুত্র সন্তান ছিল সে।
মোটরসাইকেল চালিয়ে টিকটক করতে গিয়ে হৃদয় হোসেন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হৃদয় হোসেন জয়পুরহাটের কালাই পৌর মেয়র রাবেয়া সুলতানার ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬ জন। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি পলাশ চন্দ্র দেব নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে জয়পুরহাট-হিলি সড়কে দরগাপাড়া এলাকয়, হিলি থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে ২টি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে চালিয়ে টিকটক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় জয়পুরহাট থেকে আসা আরেকটি মোটর সাইকেলে। এ দুটি মোটরসাইকেলের এই মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান হৃদয়। এসময় আল-আমিন, রিপন, মাসুদ, আলামিন, ছাব্বির হোসেন রনী গুরুতর আহত হয়।
পাঁচবিবি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেল হৃদয় হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক।
এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আরও প্রাণ ঝরবে। টিকটকের মাতামাতি সাথে প্রাণহানি, এ যেন নিত্য দিনের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেষ্টা করলেও পুরোপুরিভাবে টিকটক যে বন্ধ করা যাবে না সেটা বিটিআরসির থেকে পূর্বেই জানা গেছে। প্রয়োজন সমাজের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারকে আরো সচেতন হওয়া।