সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম টিকটক। যেখানে যে কেউ ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করে নিজের প্রতিভা তুলে ধরতে পারেন। বর্তমানে বিশ্বের বেশ কটেকটি দেশের মানুষের কাছে এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর এর ব্যতিক্রম ঘটেনি বাংলাদেশেও। সেহেতু বাংলাদেশের টিকটক কমিউনিটি সুরক্ষিত রাখতে জনপ্রিয় দুই তারকা তাহসান খান ও পূর্ণিমাকে নিয়ে ‘সেফটি অ্যাম্বাসেডর’ প্রোগ্রাম শুরু করেছে টিকটক। এর মাধ্যমে টিকটক বেশকিছু সেফটি এবং প্রাইভেসি কন্ট্রোলের সুবিধা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে যাতে ব্যবহারকারী আরও বেশি ব্যক্তিগত তথ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে এবং কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপদ, সুরক্ষিত ও বহুমুখী কমিউনিটি তৈরির লক্ষ্যে টিকটক বাংলাদেশে চালু করেছে সেফটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম।
তাহসান খান বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আচরণ কেমন হওয়া উচিত, এ নিয়ে টিকটক যে পরিবারের মধ্যে কথোপকথনের সুযোগ করে দিচ্ছে, তা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। অনলাইন নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের সবারই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সে জন্য প্রত্যেকের জায়গা থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। সময়োপযোগী এমন প্রচারণায় আমি নিজে যুক্ত থাকতে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি।’
পূর্ণিমা বলেন, ‘আজকের বিশ্বকে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ছাড়া কল্পনা করা যায় না। তেমনটাই আমাদের প্রযুক্তিকেন্দ্রিক শিশু-কিশোরদেরও এসব ছাড়া চলে না। কিন্তু তারা যতই ডিজিটালভাবে শিক্ষিত হোক না কেন, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাবা-মা হিসেবে তাদের সুস্থতার দেখাশোনা করা আমাদের দায়িত্ব। তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য এমন ক্যাম্পেইনে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত।’
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে টিকটক বেশ কিছু সেফটি এবং প্রাইভেসি কন্ট্রোলের সুবিধা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে, যাতে ব্যবহারকারী আরও বেশি ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এবং কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
তবে এর আগে দেশের বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে জড়িয়েও বেশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলা ছোট পর্দার অন্যতম গুণী অভিনেতা তাহসান খান। কিন্তু এব্যাপারে তিনি দাবি করেছিলেন, প্রবেশের পরই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রতিষ্ঠানে ঝামেলা চলছে। আর তাই তিনি ইভ্যালির চাকরি ছেড়ে দেন।