বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিলেন নিপুণ আকতার। এর প্রেক্ষাপটে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসলে আপিল বোর্ড অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে এফডিসিতে বৈঠকে বসে।
বৈঠকের পর আপিল বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আকতারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।
তারপর থেকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই পদে কে থাকবেন এবার আদালতে রায়ে তা জানা যাবে। এদিকে জায়েদ খান ও জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নিপুণ।
জায়েদ টাকা দিয়ে ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচার করছেন বলে অভিযোগ নিপুণের। আর জায়েদকে এই কাজে জয় সাহায্য করছেন বলে জানান নিপুণ। তাই জয় ও জায়েদকে নোংরামি বন্ধ করতে বলেছেন নিপুণ।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে জায়েদ খানের ভক্ত বেড়ে গেছে। তিনি টাকা দিয়ে দুটি ইউটিউব চ্যানেল এবং দুটি ফেসবুক গ্রুপ পরিচালনা করছেন। এখানে প্রতিনিয়ত আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। আর জায়েদের পক্ষে এসব কাজ করছেন অভিনেতা জয় চৌধুরী।
জয়কে নিয়ে নিপুণ বলেন, তুমি মাত্র সিনেমাতে এসেছো। তোমার উচিত এসব নোংরামি বাদ দিয়ে নিজের অভিনয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। তিনি আরও বলেন, যেহেতু জায়েদের সঙ্গে আমার আইনি লড়াই চলছে। আমি বলব- আপনি আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের নোংরামি থেকে বিরত থাকেন। আমাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, গতকালও ফেসবুক গ্রুপে নিউজ করেছে, গ্রেফতার হওয়া নিপুণকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা এগুলো করছেন তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। আর আইনি ব্যবস্থা নেব কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি বলেন, তার মনে হয়েছে এই অভিযোগগুলো সংবাদমাধ্যমে আসা উচিত।নিপুণ আকতার বলেছেন বনানী থানায় তিনি একটা জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে।
অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেছেন, “সম্পূর্ণ বানোয়াট। একটা ক্লোন করে আমার একটা ছবি দিয়ে একটা প্রোফাইল খুলে স্ক্রিনশটগুলো রেডি করে ছেড়ে দিয়েছেন। আমি খুব দ্রুত ঐদিনই সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম যেন খুঁজে বের করে কারা আসলেই এই কাজ গুলো করেছে। প্রয়োজনে আমি মামলা পর্যন্ত করবো।”তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে “তথ্য-সন্ত্রাস” করা হচ্ছে।