বাংলাদেশ মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। যার জন্য অন্যতম কারণ হচ্ছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সৃষ্ট সং”ঘাত। এই পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বেশ সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও অন্য দেশের মতো জ্বালানি তেলসহ গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের সংকটের কারণ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়ার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় সারা বিশ্ব ভুগছে। বিশ্বে জ্বালানি ও খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সবাই এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। একইভাবে উন্নত দেশগুলোতেও মূল্যস্ফীতি অনেক অনেক বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।
শনিবার জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার সৃষ্ট সং”ঘাতের কারণে আমেরিকা রাশিয়ার সঙ্গে ডলারের যে লেনদেন ও বিনিময় সেটা নিষিদ্ধ করেছে, তাতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকার মতো অনেক উন্নত দেশও ভুক্তভোগী। এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের সার কেনা, খাদ্য কেনা অথবা জ্বালানি তেল কেনা, সব ক্ষেত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু আমরা না, সারা বিশ্বই একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। এটা হলো বাস্তবতা।’
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি উন্নত দেশগুলোর কথা বেশি বলব। কারণ আমরা অনেক দূরে রয়ে গেছি, কিন্তু তাদের অবস্থা এমনই করুণ। সেখানে আমরা কোথায়! তারপরও বলবো, আমরা এখনো ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছি কারণ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অপচয় এড়াতে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কার্যত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে লোডশেডিং। তাছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে লাগামহীন ভাবে। তবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সৃষ্ট সংকটের কারণ ছাড়াও দেশে বিভিন্ন ধরনের পন্যের সিন্ডিকেট সৃষ্টির জন্য এই ধরনের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরকার তাদের বের করে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।