সম্প্রতি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সংকট সৃষ্টির কারনে জ্বালানি তেলসহ আমদানিকৃত পন্য সরবারাহ ব্যহত হচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়ছে। যদিও এই সংকট নিরসনে কাজ করছে সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে এই সমস্যা আরোও দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। জ্বালানি সংকটের বিষয় বাংলাদেশের পাশে থাকা নিয়ে যা বললেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে জ্বালানি জরুরি অবস্থা হলে চীন অলস বসে থাকবে না। এ বিষয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
‘
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিসিএবি) ‘ডিক্যাব টক’ নামের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো। চীনের ঋণের অনুপাত পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম। মুসলমানদের প্রতি চীনের কোনো শত্রুতা নেই। কারণ এখানে ২৫ মিলিয়ন উইঘুর রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া এ নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করে চলেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন আন্তরিক। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় চীনের মূল আগ্রহ, মিয়ানমারের পক্ষে মোটেও কাজ করছে না চীন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে যতই আন্তর্জাতিক চাপ থাকুক না কেন মিয়ানমার ছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরানো সম্ভব হবে না। প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন। বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে প্রত্যাবাসনে মনোযোগ দেওয়া।
লি জিমিং বলেন, চীন বাংলাদেশে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে চীন। চীনের সহায়তায় নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বর্তমানে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঢাকা-বেইজিং একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে জ্বালানি জরুরি অবস্থা হলে চীন অলস বসে থাকবে না। এ বিষয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
চীন বিশ্বাস করে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যা দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করা উচিত। পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত সিতরাংয়ে নি/হতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাশে থেকে সব সময় কাজ করছে চীন এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।