বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিরোধী দলগুলো। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি, তেল সংকট, বন্যা পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে। সম্প্রতি এই বিষয় গুলো নিয়ে জোনায়েদ সাকির বক্তব্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে উঠে আসে।
বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হারিকেনের বিরুদ্ধে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর গণসংহতি আন্দোলন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ১০ আগস্ট সমাবেশ থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট। সরকার নিজেই বলেছে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কয়েকদিন আগে মহাসমারোহে শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুষ্ঠান হয়। আর এখন সরকার বলছে হারিকেন জ্বালাও, কাপ জ্বালাও। সরকার ঘোষণার আগেই লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সরকার বলছে সুষম লোডশেডিং এবং গ্রামে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। যারা দেশের অর্থনীতি চালাচ্ছেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সার কারখানাও।
তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে জনগণের সংকট ও বিদ্যুতের প্রতিবাদকে কাজে লাগিয়ে লুটপাট চালায়। দ্রুত সমাধানের কথা বলে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হয়েছে। এটি ২০১৪ সাল পর্যন্ত চালানোর কথা ছিল। এখন ২০২২ সালে তারা চলছে এবং পুনরায় নবায়ন করা হচ্ছে। তাদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে এবং গত 12 বছরে 70,000 কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লুট করা হয়েছে। সরকার গত ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও দেশের মজুদ থেকে এক ইউনিট গ্যাস উত্তোলন করতে পারেনি। বরং লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সমগ্র বিদ্যুৎ খাতকে আমদানিনির্ভর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে সরকারের কোনো অগ্রাধিকার নেই। ভারতের স্বার্থে সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর ফোকাস করতে হবে বলে প্রতিহত করেছি। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটেনি; পরিবর্তে, তারা নগদ লুট সংগঠিত উপর ফোকাস.
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের চুরি-দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের জন্য অব্যাহতি আইন বাতিল করতে হবে এবং একটি স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে। তারা করবে না। তাই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে এই বিচার সম্পন্ন করতে হবে। লুটপাট ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ১০ আগস্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে সরকারকে সতর্ক করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আক্তার, মনির উদ্দিন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ। রহমান প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানার নেতারা।
দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধির পর সারাদেশের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্ররা বিপাকে পড়ে। এর দাম মুটামুটি নিয়ন্ত্রনে আসতেই শুরু হয় ব্যন্যা পরিস্থিতি। এরপর এই জালানি ও বিদ্যুৎ সংঙ্কট। এই সকল বিষয় নিয়ে অনেক সাধারন মানুষের অভিযোগ রয়েছে। তাদের দাবি জালানি ও বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে দেশকে আবারো আগের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।