শেখ হাসিনা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাতীয় নির্বাচনে পরপর ৩ বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার বাংলার মানুষের কল্যানের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন এবং এখনো করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ব্যাখ্যা দিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যত গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিয়ে এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো দরকার ছিল তা জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশে একটি শক্তিশালী শিল্প খাত গড়ে উঠবে।
আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, বৈঠকে ওষুধ আইন-২০২২-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর ফলে লাইসেন্স ছাড়া কেউ ওষুধ আমদানি করতে পারবে না। কেউ এটা করলে তার ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। সরকারি ওষুধ চুরি ও বিক্রি করলে একই ধরনের শাস্তি হবে। তবে ওষুধের দাম ও মান নিয়ে আইনে কিছু বলা নেই। তিনি আরও বলেন, এগুলো নীতিগতভাবে নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এমন অব স্থা থাকলে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন আরো দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। তাই জনগনের কথা চিন্তা করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমাতে কাজ করে যাচ্ছেন।