জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নিয়ম লঙ্ঘন করে বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জাপা চেয়ারম্যানের বক্তব্যের জবাবে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি।
তিনি বলেন, কথা তো যা বলার জি এম কাদের একাই বললেন। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল যেসব কথা বলেছেন, তা ঠিক হয়নি। সামনে আরও সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি ছিল ধন্যবাদ জানানোর। এত দীর্ঘ বক্তৃতার জন্য জিএম কাদেরকে আহবান জানানো হয়নি। তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। তার কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। স্বাধীনতার পর এদেশে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন একজন, এখন তারা ১১ জন।
মন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব। মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তারা রাস্তায় ফ্রিস্টাইল করবে এবং আমরা চুপচাপ বসে থাকব- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা কী বলছেন তাতে দেশের মানুষ আগ্রহী নয়। আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।