নানা আলোচনা-সমালোচনাকে পিছনে ফেলে অবশেষে উদ্বোধন হল পদ্মা সেতুর। দুর্নীতির কারন দেখিযে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাহসি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। সেতু উদ্বোধনের পর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতুর রেলিং এর নাট -বল্টু খুলা সেই বায়েজিদ এবার ক্ষমা চেয়ে যা বলল।
পদ্মা সেতুর নাট খুলে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বায়েজিদ তালহা তার ‘কর্মের’ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া তিনি অনুতপ্ত। পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন, জোশের বশে তিনি পদ্মা সেতুর নাট খুলেছেন। এই ঘটনা নিয়ে ‘এতো কিছু’ হবে এটা তার কল্পনায় ছিল না।
তালহারের ভাষ্য, ‘তিনি পেশাদার টিকটকার নন। শখের বশে মাঝে মাঝে টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। ঘটনার আগের রাতে নিজের প্রাইভেট কার নিয়ে পদ্মা সেতু এলাকায় যান। সকালে সেতুটি চালু হলে কাতারি প্রবাসী তার বন্ধু কায়সারকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠেন,” বুধবার দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তদন্তের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্যমকে বলেন, সাত দিনের মধ্যে তার দুই দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। তালহা তার কাজের জন্য ক্ষমা চান। এটি শুধুমাত্র একটি টিক ভিডিও নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্যে ছিল তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আইনের দৃষ্টিতে ক্ষমা চাওয়া বা ভুল বোঝাবুঝি সমাধান নয়। ‘
সিআইডি সূত্র জানায়, সোমবার রাতে তালহাদের শান্তিনগরের বাড়ি থেকে তার গাড়িটি আটক করা হয়েছে। ওই গাড়ির ভিতরে একটি টুলবক্স আছে। তবে তালহা দাবি করেন, তিনি কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার না করে হাত দিয়ে নাট খুলেছেন।
বুধবার পর্যন্ত তালহারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কায়সারকে গ্রেফতার করা হয়নি। এরই মধ্যে তাকে দেশত্যাগে বাধা দিতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তালহা জানায়, ঢাকা কলেজে পড়ার সময় কায়সারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর কায়সার কাতার চলে যান। তবে বছরে একবার দেশে আসতেন। তার গ্রামের বাড়ি সাভার। পদ্মা সেতু দেখতে তিনি কায়সারকে সঙ্গে নিয়ে যান।
গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে হলুদ শার্ট-প্যান্ট পরা এক যুবক পদ্মা সেতুর নাট খুলছেন। ফেসবুকে অনেকেই ওই যুবকের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই তার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
রোববার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার এ মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুর নাট বল্টু খোলা সেই বায়েজিদ তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি যে কিছু হবে সে বঝতে পারে নাই এই জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।