নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের কৌশল বদলাতে দেখাচ্ছে। যদিও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি বিপরীত অবস্থান নেওয়ায় রাজনীতিতে বৈরী হাওয়া বয়ছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির মধ্যে আভ্যন্তরীন কন্দোলে দলটির নেতারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। যা প্রকাশ পেল প্রেসিডিয়াম সদস্য রাঙ্গাসহ বেশ কয়েক জনকে অব্যাহতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে। দলের বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যা বললেন রওশন এরশাদ।
দলের বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে নিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন দলের চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদ।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রওশনের চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক চিঠিতে রওশন এরশাদ এ নির্দেশনা দেন।
চিঠিতে রওশন উল্লেখ করেন, ‘গঠনতন্ত্রের ২০-এর উপধারা-১ অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের বিশেষ ক্ষমতা এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ধারা ২০-এর উপধারা ১(১)-এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ এবং উপধারা ২-এর ক, খ, গ এবং উপধারা-৩-এ বর্ণিত অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারীমূলক বিধান স্থগিত করে জাতীয় পার্টির অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া সব নেতাকর্মীকে পার্টিতে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেওয়া যাচ্ছে।’
চিঠিতে রওশন এরশাদ বরখাস্ত মসিউর রহমান রাঙ্গা, জিয়াউল হক মৃধা, আবদুল গাফফার বিশ্বাস, এম এ সাত্তার, দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, কাজী মামুনুর রশীদ, ইকবাল হোসেন রাজুসহ অন্যদের দলে পুনর্বহাল করার আহ্বান জানান।
রওশন এরশাদের চিঠি প্রসঙ্গে জানতে জি এম কাদেরকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দলের একজন নেতা জানান, দ্রুতই চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রওশন এরশাদের চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় পার্টি।
প্রসঙ্গত, দলের মধ্য দ্বন্দ্বের কারনে নেতাকর্মীর অব্যাহতি দেওয়া নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয় জাতীয় পার্টিতে। তবে এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি জানা যায়।