আদালতের আদেশে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থগিত থাকার পরেও, পুনরায় কিভাবে কোর্ট থেকে কাগজ আসলো, সেই কাগজের ভিত্তিতে শপথগ্রহণ কিভাবে হল। এ বিষয়টি নিয়ে এফডিসিতে( FDC ) পুনরায় সৃষ্টি হল বিতর্ক। ভুয়া কাগজের ভিত্তিতে যদি কেউ শপথ নেয়, সে ব্যাপারে রয়েছে শাস্তিদায়ক আইন। প্রার্থী যদি কাগজ জালিয়াতির করে থাকে, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে, অভিনেতা সায়মুন( Simon ) এমন মন্তব্য করেছেন।
গত ২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে তার পক্ষে রায় পাওয়ার পর, চলচ্চিত্র নির্মাতা জায়েদ খান ৪ মার্চ( March ) শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নেন। তবে আরেক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক( Simon Sadiq ) দাবি করেন, জায়েদ খান নিয়েছেন। আদালতের ভুয়া কাজ দেখিয়ে শপথ নিয়েছেন।।
শপথ গ্রহণের আগে নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন( Elias Kanchan ) জায়েদ খানকে( Khan ) শপথ নেওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তিনি তার পক্ষে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের অনুলিপি দেখাতে পারেন। শর্ত অনুযায়ী গত( Past ) ৪ মার্চ( March ) শুক্রবার শপথ নেন জায়েদ খান। যাকে সাইমন সাদিক( Simon Sadiq ) ভুয়া বলছেন।
রোববার সন্ধ্যায় এফডিসিতে( FDC ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন অভিনেতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ( March ) আপিল বিভাগে নিপুণের করা আপিলের শুনানি শেষে রোববার চেম্বার জজ আদালত আবারও সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করেন। অর্থাৎ আপাতত এই পদে কেউ বসতে পারবেন না। এমন রায় পাওয়ার পর সন্ধ্যায় এফডিসিতে( FDC ) যান নিপুণ ও সাইমন।
হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি দেখিয়ে জায়েদ খানের( Zayed Khan ) শপথ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সাইমন বলেন, আসলে কাগজটি ভুয়া ছিল। এখন পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র ছাড়া হয়নি। তাহলে জায়েদ খান কাগজ পেলেন কোথায়? আমি কাগজটি দেখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি তা দেখাননি। কাউকে দেখানো হয়নি যে এটি সঠিক নয়।
সাইমন আরও বলেন, “আজ রবিবার ( Sunday )) বিচারক আদালত থেকেও বলেছেন, আদালত থেকে কোনো কাগজ আসেনি। সে জন্য সাধারণ সম্পাদকের পদ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। কাগজ বের হলে এমন হতো না। আজ এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া শুক্রবার বিশ্বের কোনো আদালত থেকে কোনো কাগজ ছাড়া হয়নি।ফলে কাগজটি জাল হয়েছে।
জায়েদ খানের( Zayed Khan ) পক্ষে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৪ এপ্রিল( April ) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিএফডিসি নিয়ে বিতর্কের জন্য কোন সুরাহা মিলছে না। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরও, এফডিসির কার্যক্রমে বেড়েই চলেছে জালিয়াতি। জালিয়াতি রোধে অবশ্যই কঠোরভাবে ভূমিকা নিতে হবে, এফডিসির নির্বাচন কমিটিকে।