বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনের সুপরিচিত এবং চেনা মুখ অমিত হাসান ও জায়েদ খান। তারা দুজনেই দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকাই সিনেমায় কাজ করছেন। এমনকি তারা শিল্পী সমিতিতেও বেশ সরব ভূমিকায় রয়েছেন। অবশ্যে এই শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অমিত হাসান এবং জায়েদ খান সংগঠনটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে ঘিরে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েছেন এই দুই নায়ক। এমনকি জায়েদ খানকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অমিত হাসান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ঘিরে দ্বন্দ্ব চলছে এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক অমিত হাসান ও হালের আলোচিত নায়ক মুখ জায়েদ খানের। শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান আর জায়েদ খান সংগঠনটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। একই পদের সাবেক সদস্যকে নিয়েই যত ক্ষোভ, অভিযোগ জায়েদ খানের। এবার অমিত হাসানের বিরুদ্ধে জায়েদের অভিযোগ, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে অমিত হাসান সবচেয়ে বেশি অন্যায় করেছেন। সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে যাকে-তাকে সদস্য করেছে আগের কমিটি।’ জায়েদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন অমিত হাসান।
এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত হাসান বলেন, ‘১৮৪ জন সদস্যই কি মাছ বিক্রি করেন? সেলুনে চাকরি করেন? চিত্রনায়িকা ইরিন জামান, শিমু ইসলাম কি মাছ বিক্রি করেন! সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অন্যায় হয়নি। প্রশ্নই আসে না। আমি কী অন্যায় করেছি, বলতে হবে। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম। ঢালাওভাবে মন্তব্য করা তো ঠিক নয়। জায়েদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অমিত বলেন, ‘জীবনে কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি, এমন একজনকে সদস্য বানিয়েছি, প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ না দিলে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। আর যদি প্রমাণ দিতে পারে অনিয়ম করেছি, তাহলে বর্তমান কমিটি যে পানিশমেন্ট দেবে, তা-ই মেনে নেব। এটা আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ।’
বর্তমান সমসয়ে এমনিতেই দেশের বিনোদন মাধ্যম এক সংকটাপন্ন পরিস্তিতির মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এই সংকটের মধ্যেও প্রায় সময় নানা ধরনের বির্তকে জড়িয়ে পড়ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এই সমিতির নানা কর্মাকন্ড নিয়ে অনেক সিনিয়র অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।