আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য জামায়াত অন্য দলগুলোর মতো অগ্রসর হচ্ছে। যদিও দলটি শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা যু/দ্ধাপরাধী দায়ে সাজা প্রাপ্ত হয়েছে। তাছাড়া তাদের নিবন্ধন আদালত বাতিল করেছে। নতুন করে তারা আবারও ভিন্ন নামে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। তাদের নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শর্ত অনুযায়ী আবেদন করলে নিবন্ধন পেতে বাধা নেই। জামায়াতের নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ব্যাপার মন্তব্য করে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জামায়াতের লোকজন ভিন্ন খোলসে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নজরে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে। নিবন্ধন করা বা না করা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আর জামায়াতের লোকজন অন্যভাবে আবেদন করলে নিশ্চয়ই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আসবে, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিষয়টি দেখবে।
সরকার কখনো বিএনপির সমাবেশে বাধা দেয়নি দাবি করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা চাই বিএনপি সমাবেশ করুক। ঢাকা মহানগরীতেও সমাবেশ হচ্ছে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, মিটিং করুক এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করুক।
বিএনপির সমাবেশের আগে শ্রমিক ধর্মঘটের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যেহেতু অতীতে বাস, ট্রাক, লঞ্চ পু/ড়িয়েছে; এ কারণে খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছেন বাস মালিক-শ্রমিকরা। বরিশালেও ডাকলে একই কারণে ডেকেছে । রংপুরের কথা জানি না আমি। সেখানে যদি এমন হয়, তা শ্রমিক-মালিকের ব্যাপার, তারা তো স্বা/ধীন। আওয়ামী লীগ-বিএনপির সবাই পেশাজীবীদের সংগঠন বা মালিকদের সংগঠনে আছে। সেই সব সংগঠনের মধ্যে বিএনপিও রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাস শ্রমিকদের সংগঠনে বিএনপি নেতারা আছেন, মালিকদের সংগঠনে বিএনপি-জাতীয় পার্টি সকল দলের সদস্যও রয়েছেন। বিএনপি নেতাসহ সবাই ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তাদের বাস যদি আবার পু/ড়ে যায়, তারা যদি আবার মানুষ পোড়ায়। সেখানে (ধর্মঘট) আ/মাদের কি করার আছে?
প্রসঙ্গত, বিএনপি আন্দোলন সমাবেশ করবে এতে সরকার পক্ষ থেকে বাধা নেই মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গনতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করলে সরকার সুাধবাদ জানাবে।