বর্তমানে মাঝেমাঝেই দেশের গণমাধ্যমে উঠে আসছে ভিন্ন একটি খবর, আর তা হলো কিশোরীদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়। যেটা নিয়ে সমাজ বিশ্লেষকরাও অনেকটা হতবাক। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটল জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি এলাকায়। সেখানে এক বান্ধবী তার আরেক বান্ধবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ঐ দুই তরুণী এবং তাদের বিবাহের সাক্ষী হিসেবে থাকা অন্য দুইজনকেও পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ি গ্রামের দুদু মিয়ার বাড়িতে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনসহ স্থানীদের উপস্থিতিতে দুই তরুণীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। এ সময় তাদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, একই স্কুলে পড়ার সুবাদে ওই ছাত্রী (১৭) ও কিশোরীর (১৮) মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিন বছর সম্পর্কে থাকার পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তারা বিয়ের পর প্রতিজ্ঞাও করেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তাদের অন্য দুই বান্ধবীকে সাক্ষী রেখে ঐ দুই বান্ধবীর বিয়ে হয়েছে।
চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক স্বপন জানান, দুই বান্ধবীর বিয়ের খবর পেয়ে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে চার কিশোরীকে সরিষাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মোহাম্মদ মহব্বত কবির যিনি সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ওই দুই তরুণীসহ তাদের অপর দুই সহযোগীকেও থানায় হাজির করেছে স্থানীয়রা। তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হবে বলেও জানান তিনি।