জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জ্যাব) মীর মোশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বামীকে অন্য হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে গ/ণধর্ষণ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন হলের রান্নাঘর সংলগ্ন গেট ভেঙ্গে ঢোকে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান। পরে রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর আশুলিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের নির্দেশে মীর মোশাররফ হোসেন মোস্তাফিজুরকে পালাতে সহায়তা করে এবং ছাত্রলীগ নেতা সাগর সিদ্দিকী ও সভাপতির নির্দেশে তাকে আশ্রয় দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে। পরে ছাত্রলীগ সভাপতির নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলের চাপে মুস্তাফিজ আত্মসমর্পণ করেন।
অভিযুক্ত ধ/র্ষককে আশ্রয় দেওয়ার সময়কালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাওয়া হলে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সব সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো ফুটেজ রেকর্ড করা হয়নি। এর জন্য তারা যান্ত্রিক ত্রুটিকে দায়ী করছেন। তবে সরেজমিনে সিসিটিভি ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত সব ফুটেজ রয়েছে এবং ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ রেকর্ড করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, আমি হলে যাব, হল পরিদর্শন করব, আমি ছুটিতে ছিলাম। গতকাল রাতে কুষ্টিয়া থেকে ফিরেছি। আমি হলে যাব এবং কি ঘটেছে সে বিষয় খতিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধ/র্ষণ করে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ও মামুনুর রশিদ মামুন।