নিজের বয়সের তুলনায় অনেক ছোট যুবককে বিয়ে করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুরের কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪৫)। তবে সংসারটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নেয়ার আগেই এরই মধ্যে ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। জানা গেছে, আজ রোববার (১৪ আগস্ট) ঐ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরে তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে দুপুর পর্যন্ত স্বামী মামুনের পক্ষ থেকে কাউকে দেখা যায়নি। এ মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষকের স্বজনরা মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শিক্ষক-ছাত্র দম্পতির বিয়ে হলেও চলতি বছরের ৩১ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই খবর। ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার মাত্র ১৪ দিন পর শিক্ষকের মৃ/ত/দে/হ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় খায়রুন নাহারের স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী আ/ত্ম/হ//ত্যা/ করেছেন।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে শিক্ষিকার ভাগ্নে নাহিদ হোসেন বলেন, মামুন মা’দ’কা’স’ক্ত ছিল। বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। সম্প্রতি আরও দামি মোটরসাইকেল চেয়েছেন মামুন। এ নিয়ে তার খালা খায়রুন নাহার মানসিক চাপে ছিলেন। এ ছাড়া সম্প্রতি গুরুদাসপুরে ‘মা”দ’ক নিয়ে কয়েকজন দু’ষ্কৃতীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনায় মামুনকে আসামি করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে নানা মানসিক ও পারিবারিক চাপের কারণে তার খালা অশান্তিতে ছিলেন। এ মৃ/ত্যু/র রহস্য উদঘাটনের জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ জানায়, মামুনের ‘মা”দ’ক’ মামলার আসামি হওয়া, বখাটেদের সঙ্গে মা’রা’মারি, নতুন মোটরসাইকেল চাওয়া, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খারাপ কথা, সংসার চালানোর টানাপোড়েন- এসব কারণে মানসিক চাপে ছিলেন ওই শিক্ষক।
এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি আসলে আ/ত্মহ/নন নাকি মা/র্ডা/র।