সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। এই প্রযুক্তির একটি অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। এই মাধ্যমে খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নানা বার্তা পাঠানো যায়। সম্প্রতি এই সোশ্যাল মিডায়ার অন্যতম একটি অংশ টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়াল। এবার প্রকাশ্যে এলো এই পদের জন্য তিনি কি পরিমান সম্মানী পাচ্ছেন।
জ্যাক ডরসি পদত্যাগের পর টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়াল। তবে ডরসি পদত্যাগ করলেও ২০২২ সাল পর্যন্ত টুইটারের বোর্ড কমিটিতে থাকছেন। এদিকে পরাগ আগারওয়াল নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর তার বেতন কত হবে তা নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর তিনি শুধু বেতনই পাবেন ১০ লাখ মার্কিন ডলার। পাশাপাশি থাকছে বোনাস সুবিধা। পরাগ আগারওয়ালের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনে নথিপত্র দাখিল করেছে টুইটার। সেখানে বার্ষিক বেতনের বিষয়টি উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, মূল বেতনের পাশাপাশি ১৫০ শতাংশ বোনাস পাবেন পরাগ। একই সঙ্গে টুইটারের শেয়ারের অংশও পাবেন।
২০১৭ সালে টুইটারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন পরাগ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তিগত কলাকৌশলগুলো দেখভাল করতেন। এর আগে ২০১১ সালে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে টুইটারে যোগ দেন তিনি। সফটওয়্যার উন্নয়নের ধারায় অগ্রগতি আনা এবং সর্বস্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি প্রয়োগের দায়িত্ব ছিল তার ওপর। ৩৭ বছর বয়সী পরাগ আগারওয়াল মুম্বাইয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট থেকে থেকে স্নাতক শেষ করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
বিশ্ব জুড়ে অনেক নামি-দামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তাদের বেতনের পরিমান নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে কৌতূহলির শেষ নেই। প্রায় সময়ে এরই সুত্র ধরে নামি-দামি কোম্পানির কর্মরত প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তাদের বেতনের পরিমান উঠে আসে প্রকাশ্যে।