সম্প্রতি আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন ভারতের কানপুরের সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ। আয়কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তার সম্পদের পরিমান এবং ব্যবসায়ের শুরু নানা তথ্য উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। ভারতের গনমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে তার প্রসঙ্গে নানা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
৩১ কোটি রুপি আয়কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ভারতের কানপুরের সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে। তার গ্রেফতার হওয়ার খবরে চমকে গেছেন প্রতিবেশীরা। ১২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে এই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০ কোটি রুপি, দুবাই ও দেশের সম্পত্তির নথি এবং রাশি রাশি স্বর্ণ। পীযূষের বাড়িতে রাখা এত স্বর্ণ দেখে অবাক প্রতিবেশীরা। তাদের ভাষ্য, বাইরে থেকে দেখে বোঝাই যায়নি পীযূষকে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশীদের একজন বলেন, পীযূষকে বরাবরই স্কুটার কিংবা হেঁটে যাতায়াত করতে দেখেছি। উৎসব, অনুষ্ঠানে একদম সাদাসিধে পোশাকেই দেখা যেতো। অন্যের ব্যাপারেও কোনোদিন নাক গলাতে দেখিনি।
প্রতিবেদনে জানা যায়, পীযূষের দাদার ছিল কাপড় ছাপার ব্যবসা। পীযূষ ও তার ভাই অম্বরীশ, দু’জনেই কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছেন। পীযূষ প্রথম জীবনে মুম্বাইয়ে ফেরিওয়ালার কাজ করতেন। রসায়নে দক্ষতা থাকায় সাবান, কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবানের উপাদানও তৈরি করতে শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যে পারিবারিক ব্যবসার ভার এসে পড়ে তার কাঁধে। একইসাথে চলতে থাকে অন্য ব্যবসাও। সেখান থেকেই শুরু হয় গুটখার উপাদান তৈরি। কিছুদিনের মধ্যে খোলেন সুগন্ধির ব্যবসা। ব্যবসার পরিধি বাড়ে। কনৌজ থেকে কানপুরে চলে আসেন পীযূষ। পীযূষের তিন সন্তান। বড় মেয়ের নাম নীলাংশা। পেশায় পাইলট নীলাংশার বিয়ে হয়েছে। তল্লাশির সময় কানপুরের বাড়িতে ছিলেন প্রত্যুষ ও প্রিয়াংশ পীযূষের অপর দুই সন্তান। পীযূষের বাবা মহেশচন্দ্র জৈন চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে।
সমাজে অনেকেই রয়েছে যারা কোনা শূন্য থেকে শুরু করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এদেরই মতই একজন সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে। তিনি সামান্য ফেরিওয়ালা থেকে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি আয়কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে বেশ বিপাকে পড়েছেন।