সম্প্রতি ময়মনসিংহের ফুলপুরে ( Phulpur )র সহকারী শিক্ষক ঐ বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষককে জুতা দিয়ে মারার বিষয়কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন। অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় তিনি এমন আলোচিত ঘটনার উম্মোচন করেছেন বলে জানিয়েছেন গনমাধ্যম কর্মীদের। ঘটনার দিনই সহকারী শিক্ষক মুর্শিদা আক্তার বিউটি ( Murshida Akhter Beauty ) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ( Phulpur ) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষককে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। গত ( Past ) শনিবার (১২ মার্চ ( March )) উপজেলার ভাইতকান্দি ( Bhaitkandi ) ইউনিয়নের সুতারকান্দি শহীদ স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুর্শিদা আক্তার বিউটি ( Murshida Akhter Beauty )কে লাথি মেরেছেন মনিরুজ্জামান রুবেল। ওই দিনই সহকারী শিক্ষক মুর্শিদা আক্তার বিউটি ( Murshida Akhter Beauty ) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরদিন রোববার (১৩ মার্চ ) প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান রুবেলের ( Md. Moniruzzaman Rubel ) বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও ফুলপুর থানায় অপমান ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তোলেন। সোমবার (১৪ মার্চ ( March )) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিতেশ চন্দ্র ( Shitesh Chandra ) সরকার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান ( Habibur Rahman ) বলেন, স্যার ও ম্যাডাম অফিসে বসেছিলেন। পানি আনতে বাইরে গিয়েছিলাম। পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখি দুজনেই ঝগড়া করছে। এ সময় ম্যাডাম স্যারের কাছে শিক্ষকদের হাজিরা খাতা চান। পরে অন্য শিক্ষকরা এলে বইটি দেবেন বলে জানান। এসময় ম্যাডাম জুতা খুলে স্যারকে মারধর শুরু করেন।
এ বিষয়ে মুর্শিদা আক্তার বিউটি ( Murshida Akhter Beauty ) বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে প্রধান শিক্ষক আমার কাছে অশোভন কথা ও অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিষয়টি একবার হলেও সবাইকে জানাবেন বলে তিনি এমন কোনো প্রস্তাব দেননি। ঘটনার দিন স্কুলে আমরা ৫ জন শিক্ষক ছিলাম। সবাইকে ক্লাস করতে পাঠানো হল এবং প্রধান শিক্ষক আমাকে অফিস কক্ষে বসতে বললেন। কিছুক্ষণ পর অনৈতিক প্রস্তাব দিলে আমি তাকে অপমান করি। তবে প্রধান শিক্ষক অনৈতিক প্রস্তাব
দিতে অস্বীকার করেন। মনিরুজ্জামান রুবেল জানান, গত ৮ ও ৯ মার্চ দুই দিন ছুটি ছাড়া ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেননি।
শনিবার (১২ মার্চ ) অন্যান্য শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস ত্যাগ করলে তিনি আমার কাছে উপস্থিতি খাতা চান এবং অনুপস্থিতির স্থানে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি উপস্থিতি খাতা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলাম অন্য শিক্ষকরা অফিসে এলে হাজিরা খাতা দিয়ে দেব। তর্কের এক পর্যায়ে তিনি আমাকে অপমান করেন। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেশ চন্দ্র সরকার জানান, দুইজনের অভিযোগের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কমিটির সদস্যদের নাম বলা যাবে না। তবে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই স্কুল কমিটি নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে বিরোধ চলছে বলে গনমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী যানিয়েছেন। এসব কারণে তিনি আমাকে অপমান করেছেন এবং আমার বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। শীতেশ চন্দ্র সরকার জানান, দুজনের অভিযোগের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্তের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তদন্তের কাজের সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিদের নাম প্রকাশের ব্যাপারে অনিচ্ছুক বলে গনমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন শীতেশ চন্দ্র সরকার ।