দীর্ঘ দিন ধরে সমগ্র দেশ জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান সময়ে কারাগারে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির এমডি এবং মহাব্যবস্থাপক। এরই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনায় ৫ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করে দিয়েছে আদালত। এবার জানাগেল এই দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের পারিশ্রমিকের পরিমান।
ইভ্যালি পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য চার সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিও নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বোর্ড গঠন করে আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে সম্মানি ঠিক করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম এর বেঞ্চ-এ পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বোর্ড গঠন-সংক্রান্ত লিখিত আদেশ দিয়েছেন। পরিচালানা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। প্রতি বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য ২ লাখ টাকা সম্মানি পাবেন তিনি।
বোর্ডের সদস্য সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এবং এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমেদ প্রতি বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য ১ লাখ টাকা করে সম্মানি পাবেন। বোর্ডের অপর সদস্য ও এমডি অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবীর সরকারের কাছ থেকে বেতন এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন (অবসরের পূর্ব পর্যন্ত)। তবে অবসরে যাওয়ার পর সবশেষ সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বেতন অনুযায়ী ইভ্যালি তাকে বেতন নেবেন। এ ছাড়া গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস পরিচালনা পর্ষদকে অর্থ ফেরতে চাপ দিতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত ২৩ নভেম্বর দিন রেখেছেন।
২০১৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুর করে। এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার দিয়ে দেশের শীর্ষ অনলাইন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসে। এবং পরিচিতি পেয়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে। তবে এই প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় আফারে প্রতারনার শিকার হয়েছে দেশের অসংখ্য গ্রাহক।