ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগকে হটাতে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে বিএনপি। যেহেতু দীর্ঘ ধরে অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তাদের হটানো কঠিন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমতে পৌঁছে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করচ্ছে বিএনপি। যেহেতু আন্দোলনের উদ্দেশ্য একই সে কারনে একসঙ্গে আন্দোলন করলে সফল হওয়া যাবে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি মন্তব্য করে এ প্রসঙ্গে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের এখনও ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা যুগপথ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছি, আন্দোলনের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে কী হবে, তা নির্ধারিত হবে। আলোচনার দরজা খোলা আছে, রাজনৈতিক দল ব্যক্তি, সংগঠন, যারাই এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে, তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব।’
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আগেই বলেছি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, যাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, তারা সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের পরিবেশ তৈরি করবে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে দিনে। তার সঙ্গে আমাদের নেতা বলেছেন, আমরা নির্বাচনের পরে আন্দোলনকারী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। প্রধান কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে সেগুলোকে এককভাবে গড়ে তোলাটা সমুচিত হবে না তাই অন্যান্য দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।’
প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, লিশের ভূমিকা নির্ভর করবে সরকারের ভূমিকার উপরে। সরকারের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হয়। আমি বারবার বলার চেষ্টা করেছি যে পুলিশ একটি প্রজাতন্ত্রী প্রতিষ্ঠান, যার মৌলিক দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং নাশকতা বন্ধ করা।কিন্তু বাংলাদেশের তাদের দায়িত্ব একটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, নির্দেশ আসে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গায়েবি মামলা দেওয়া।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ হা/মলা করছে, সেখানে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। সরকার যদি চায়, এখানে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, তাহলেই এটা হতে পারে। আমাদের দাবি একটাই, বলছি পরিবেশ তৈরি করো, একটি নিরপেক্ষ অবস্থা তৈরি করো, ভোটাররা যাতে তাদের ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সরকার কখনো চায় না সুষ্ঠু নির্বাচন হোক কারন তারা বুঝতে পেরেছে জনগণ তাদের আর চায় না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব । তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হবে।