বাংলাদেশের ( Bangladesh ) একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা হলেন জায়েদ খান। তিনি বেশ কিছু চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্র বেশ সফলতা অর্জন করে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশ কিছুদিন নিয়োজিত ছিলেন। জায়েদ খান সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন। মহম্মদ হান্নান ( Mohammed Hannan ) পরিচালিত ২০০৮ সালে ( ) ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে পদার্পন করেন। সম্প্রতি জানা গেছে, জায়েদ খান আওয়ামী লীগের ( Awami League ) হয়ে কাজ করার জন্য নির্বাচন করতে চান।
এ বিষয়ে সম্প্রতি জায়েদ খানের এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। তবে ভিডিওটি কবের তা নিশ্চিত করা যায়নি। ভিডিওতে এ নায়ককে বলতে শোনা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের অধীনে তিনি রাজনীতি করতে ইচ্ছুক, তা জাতীয় সংসদসহ যেকোনো পর্যায়ে হোক। দলের প্রয়োজনে কাজ করতে চান তিনি। ভিডিওতে জায়েদ খান দাবি করেন, আওয়ামী লীগ করেন বলেই এফডিসিতে ( FDC ) তাকে নিয়ে ষড়য”ন্ত্র ও প্রোপাগাণ্ডায় মেতেছেন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির একটি দল।
জায়েদ খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তার নৌকার ছোট্ট একজন কর্মী হিসেবে আমি এই রাজনীতিটা করতে চাই। ভবিষ্যতে যদি দল আমাকে প্রয়োজন মনে করে আমি তাদের হয়ে কাজ করব। ভবিষ্যতে যদি আমার দলের নেত্রী কিংবা নীতিনির্ধারকরা দেশের কোথাও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ দেন কিংবা কোনো রাজনৈতিক পদবী দিতে চান তাহলে আমি সেখানে রাজনীতি করতে ইচ্ছুক। আওয়ামী লীগের ( Awami League ) রাজনীতিতে তিনি নতুন নন বলে দাবি করেন জায়েদ খান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে আমি কোনো অনুপ্রবেশকারী নই। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের ( Awami League ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Dhaka University ) পড়া অবস্থায় রাজনীতি করেছি। বর্তমান সরকার ( Government ) আমাকে আওয়ামী লীগের ( Awami League ) কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছে। রাজনীতি করতে আমি খুব পছন্দ করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির চলতি বছরের নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে ( Nipun Akhtar ) হারিয়ে জিতেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারছেন না তিনি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এখন আদালতের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায়। নির্বাচনের দিন থেকেই নানা অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তারের সঙ্গে রীতিমত যু/’দ্ধ চলছে তার দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় ধরে।
প্রসংগত, বাংলাদশের চলচ্চিত্রে জায়েদ খানের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। তিনি চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। জায়েদ খান আওয়ামী লীগের ( Awami League ) যেকোনো ছোটো খাটো একটা পোস্ট পেতে চান। আওয়ামী লীগের ( Awami League ) প্রতি তার ভালোবাসা অনেক আগে থেকেই। আশা করা যায়, তিনি চলচ্চিত্রে যেমন সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিক তেমনি তার প্রিয় মনোনীত দলের একজন ভাগ্যবান কর্মী হতে পারলেও তেমনি সততার সহিত দায়িত্ব পালন করবেন।