আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের দল গোছানোর কাজ বেশ গতি নিয়ে করে যাচ্ছে। এদিকে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতা জানান দিতে সমাবেশ করবে বলে জানা গেছে। এদিকে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এবার নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে সে সময় সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমি চাই আপনারা সেই নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা কি নৌকায় ভোট দেবেন? আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন দেবেন কি না?’ এ সময় নেতাকর্মীরা হাত তুলে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি শুধু এইটুকুই বলব- রিক্ত আমি, নিঃস্ব আমি, দেবার কিছু নেই। আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দোয়া করবেন। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সবসময় দোয়া করি, আপনারা ভালো থাকেন, সুস্থ থাকুন, উন্নত জীবন পান, সেই কামনা করি।’
তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, আপনারা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। আমরা এই কক্সবাজারের উন্নয়ন করেছি। পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণেই এদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিয়ে যেতে চাই এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি এদেশের মানুষকে কী দিয়েছে? তারা অগ্নিসংযোগ, খু’/ন, গুম, ডা”/কাতি, মানি ল’ন্ডারিং, দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়া, চোরাকারবারি এগুলো তারা পারে।’
এর আগে বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি কক্সবাজারে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন এবং সেখানকার সংগঠন এবং কর্মীদের দলকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দেশনা দেন। কক্সবাজারে আরও বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে বলেও তিনি তার বক্তৃতায় জানান। এদিকে কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সেখানকার নেতাকর্মীরা।