জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হ”/ত্যা করেছে, তাদের কয়েকজন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে। তাদেরকে দেশে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু বিদেশে অবস্থান করায় দেশগুলোর আইনী জটিলতার কারণে তাদেরকে দেশে আনতে পারছেনা সরকার। যার কারণে এবার জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খু”নিদের যাতে কোনো দেশ আশ্রয় না দেয় সেজন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি করেন, কোনো দেশ যেন আত্মস্বীকৃত খু”/নিদের আশ্রয় না দেয়। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কয়েকজন খু”/নি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা একজনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু এখনও পাঁচ আত্মস্বীকৃত খু”/নি বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছে।
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকারের জন্য এত মানুষ র”ক্ত দিয়েছে পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানি সাম”রিক জান্তা আওয়ামী লীগের পক্ষে জনগণের রায় প্রত্যাখ্যান করে গণহ”/ত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। আমরা ন্যায়ের জন্য লড়াই করেছি। আমরা মানুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে লড়াই করেছি। আমরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ শাসন করেছেন। এই সাড়ে তিন বছরে তিনি ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল ও ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হ”/ত্যা করে এদেশে আইনের শাসন ধ্বং”স করা হয়েছে। বন্ধুত্বকে হ”/ত্যা করার ২১ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর আ.লীগ সরকার ক্ষমতা এসেছে এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে চলেছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ব্যাপকভাবে ঘটিয়েছে। এবং আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি, যেটা আ.লীঘ সরকারের দ্বারা সম্ভব হয়েছে ।