ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাত সৃষ্টির পর থেকে অনেক দেশ এই দেশ দুটির পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট প্রদান করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। তবে বেশিরভাগ দেশ প্রথম সাধারন পরিষদের অধিবেশনে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তবে অধিবেশনে কোনো দেশের পক্ষে ভোট দিলে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হয়।
এবার ইউক্রেনের যু”দ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সংঘাত নিষ্পত্তির জন্য নিবেদিত। এই কারণেই তারা তাদের জরুরি বিশেষ অধিবেশন পুনরায় শুরু করার জন্য মিলিত হয়েছিল।
প্রায় ৫০টি দেশ ধ্বং”স, ক্ষয়ক্ষতি এবং আঘাতের জন্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি প্রমাণ এবং দাবি নথিভুক্ত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য একটি রেজ্যুলেশন তৈরিতে সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।
সাধারণ পরিষদ হল জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা, যেটা ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। প্রস্তাবের পক্ষে ৯৪টি দেশ, বিপক্ষে ১৪টি এবং বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশ বিরত থাকে।
সকালে ভোট অনুষ্ঠিত হয়, এবং দেশগুলি তাদের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে বিকেলে ফিরে আসে।
ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ফে”সবুক পোস্টে বলেছে যে, জাতিসংঘের অর্ধেকের বেশি সদস্য পশ্চিমাদের দ্বারা প্রচারিত খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন করেননি। দূতাবাসও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানায়।
ভোটের আগে বক্তৃতায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া খসড়া রেজোলিউশনকে রাষ্ট্রের একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠীর “একটি ক্লাসিক উদাহরণ” হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। যা আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে নয়, বরং বেআইনি কিছুকে পবিত্র করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, যে দেশগুলো রেজুলেশনকে সমর্থন করেছে তারা সাধারণ পরিষদকে বিচার বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে, যা জাতিসংঘের মতে তা নয়। রুশ ভাষায় তিনি বলেন, ”এই দেশগুলো আইনের শাসনের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু একই সঙ্গে তারা এর উপমাকে লঙ্ঘন করছে।
তবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সৃষ্ট সংঘাত বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দেশ দুটির মধ্যে সৃষ্ট সং”ঘাতের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থার দিকে ধাবিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ও এই দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট সং”কটের প্রভাব পড়েছে।