সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খল বাহিনী কর্মকান্ডে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিচার বর্হিভূত হ/ত্য, গু/মসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবরে উপর। বিষয়টি নিয়ে দেশে ও দেশের বাহিরের অনেক গুলো মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগের কথা জানায় এবং প্রতিবাদ করে। পরে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে চিঠি পাঠায় জাতিসংঘে। পরবর্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নিয়ে কথা বললেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বাংলাদেশে গু/ম খু/ন তথ্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণ সম্পর্কে অবস্থান জানতে জাতিসংঘের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সরকার দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের নজির স্থাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলবে।’
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে আবদুর রব বলেন, ‘বাংলাদেশ ১ মে, ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২২ এর মধ্যে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল এবং জবাবের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১৫ জুলাই। অন্যথায়, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মহাসচিব যে বার্ষিক প্রতিবেদন দিচ্ছেন তাতে বাংলাদেশ সরকারের মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সময় পেরিয়ে গেলেও জাতিসংঘের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ৭৬টি গু/মের ঘটনার হালনাগাদ তথ্য, ভিকটিমদের বাড়িতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং জোরপূর্বক গু/মের শিকার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৭৬টি মামলার অনেকের রেকর্ড নেই, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য বড় ব্যর্থতা।” বড় ব্যর্থতা নাগরিক গু/ম হবে, খু/ন হবে এবং সরকারের কাছে কোন তথ্য থাকবে না- এটা রাষ্ট্রের দেউলিয়াত্ব দেখায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের সাতজনের নাম নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও সরকার সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে না, যা খুবই আত্মঘাতী।’
বিবৃতিতে আবদুর রব বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিভিন্ন ধরনের ভীতি প্রদর্শন এবং শক্তি প্রয়োগে জনগণের কণ্ঠস্বর দমনে সরকারের অনৈতিক অবস্থান জাতিসংঘসহ বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের জন্য একটি কঠিন ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্বের স্বার্থে সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র হ/ত্যার অভিযোগ অস্বীকার করার গণবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, অন্যান্য দেশের মতেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে যে বার্ষিক প্রতিবেতন প্রকাশ করে জাতিসংঘ সেটির তথ্য প্রদান না করা সঠিক কাজ না বলে মন্তব্য করেন জেএসডি সভাপতি। তিনি বলেন, বিষয় নিয়ে সামনে অনেক বিপদে পড়তে হতে পারে দেশকে।